বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুতে সর্বশেষ রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এনিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এই সেতুটিতে মোট ২ হাজার ৯১৭টি রোড স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সেতুটির ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করার ক্ষেত্রে বাকি থাকল শুধু পিচঢালাই।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর সর্বশেষ স্ল্যাবটি বসানো হয় বলে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহমেদ আহসান উল্লাহ মজুমদার।
সোমবার সকালে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সেতুর যানবাহন চলাচলের পথে স্ল্যাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। এবার স্ল্যাবের ওপর দুই মিলিমিটারের পানি নিরোধক স্তর বসানো হবে যা ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন নামে পরিচিত। পরে পাথর, সিমেন্ট ও বিটুমিন দিয়ে দুই স্তরের পিচ ঢালাই হবে। এর পুরুত্ব হবে প্রায় ১০০ মিলিমিটার।’
সেতুর সড়কপথে দুটি স্প্যানের সংযোগস্থলে প্রায় ছয় মিটার ফাঁকা আছে উল্লেক করে তিনি বলেন, সেখানে সাটারিং করে 'অন স্পট' ঢালাই সম্পন্ন করা হবে। ইতোমধ্যে একটির স্ল্যাব কাস্টিং হয়েছে। আরও ১৩টি বাকি আছে।’
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে , পিচঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষ দিকে। এ কাজে তিন মাসের মতো সময় লাগতে পারে। সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতু বিভাগকে জানিয়েছে, তারা আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই সব কাজ শেষ করবে।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী মেখ হাসিনা মূল সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুসারে, গত জুলাই পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি। মূল সেতুর কাজ হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ।
২০১৯ সালের মার্চে জাজিরা প্রান্তে রোড স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হয়।আগামী বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতুটরে ওপর দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন। আর নিচ দিয়ে চরবে রেল। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ হবে।