টানা তিন দিন বায়ু দূষণে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকার পর ঢাকা বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) দূষণের শীর্ষ অবস্থানে আছে।
সকাল নয়টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৯৭। এ পরিস্থিতি খুব অস্বাস্থ্যকর। আর ২৩৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় স্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারি মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ধারা এখনো অব্যাহত।
সকাল নয়টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) তালিকা অনুযায়ী তৃতীয় স্থানে আছে মিয়ানমারের ইয়াংগুন, স্কোর ১৯৩। ভারতের দিল্লির অবস্থান চতুর্থ, স্কোর ১৯০। আর ১৮৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে ভারতেরই মুম্বাই। ষষ্ঠ স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই, স্কোর ১৮৭।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি—বছরের এ চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।