বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর র্স্ত্রী আঞ্জুমান আরা আইভী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘গতকাল সোমবার দুপুরে তিনি প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে বমিও হয়েছে। পরে তাকে করাগারের ভেতরে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় রুহুল কবির রিজভী পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন জানিয়ে আঞ্জুমান আরা আইভী বলেন, “তখন দেশে ও পরে বিদেশে তাঁর পেটে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর মাঝেমধ্যে তার পেটে সমস্যা হতো। সেই থেকে প্রায় ত্রিশ বছর ধরে রিজভী হাতের স্পর্শে খাবার খান না। খোলা পানিও খান না। চিকিৎসকের পরামর্শে বোতলজাত পানি পান করতে হয়।”
আইভী আরও জানান, “তিনি বোতলজাত পানি কারাগারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু রিজভীকে খেতে দেওয়া হচ্ছে কি না তা জানি না।” এসময় আইভী রুহুল কবির রিজভীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে উন্নত ও সুচিকিৎসার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রুহুল কবির রিজভী পেটে গুলিবিদ্ধ হলে সাবএকিউট ইনটেস্টাইনাল অবসট্টাকসন সমস্যায় ভোগেন। তার পেটে অস্ত্রোপচার থেকে এ সমস্যা হয়। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা করিয়েছেন।
মহামারি করোনার সময়ও রিজভী করোনাভাইরাসে দুবার আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ চার মাস রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেই থেকে চিকিৎসকের কঠোর নির্দেশনা মেনে জীবনযাপন করতে হয় রিজভীকে।
গত ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্মমহাসচিবকে গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওদিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রিজভীেসহ প্রায় সাড়ে চারশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নেওয়া হয়।
সম্প্রতি রিজভীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।