আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল মন্তব্য করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময় ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছি। কখনো পেছনের দরজা দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি।” এসময় তিনি বর্তমানে বিএনপির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
আরও পড়তে পারেন: আওয়ামী লীগ কখনও পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি
জিয়াউর রহমান নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার শুরু করে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব এখন কোথায়। দু’জনই (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) সাজাপ্রাপ্ত। এদের সঙ্গে ডান বাম অতিবাম এসে যুক্ত হয়েছে।”
দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস পরে অনুষ্ঠিত দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা যখন গ্রামীণ অর্থনীতি, তৃণমূলের অর্থনীতি শক্তিশালী করছি, তখন একটি পক্ষ আমাদের উৎখাত করতে চায়। আওয়ামী লীগের অপরাধটা কোথায়?” আমরা কোথায় ব্যর্থ হয়েছি? জিয়া, এরশাদ, খালেদা, তারেক- সবাই মানুষ হত্যা করেছে। মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।”
আরও পড়তে পারেন: তারা আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে চায়
শেখ হাসিনা ওই পক্ষের সমালোচনা করে বলেন, “অনেকে অতিজ্ঞানী হলেও তারা কম বোঝে। তাকায় থাকে কখন তাদের ক্ষমতায় যেতে পারবে, বসে থাকে কখন সিগন্যাল আসবে, বিদেশে দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে,বিদেশ থেকে যেন ক্ষমতায় বসাবে।”
ভোট দিয়ে বারবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জনগণকে ধন্যবাদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, “জনগণকে ধন্যবাদ। বার বার ভোট দিয়েছে।টানা ৩ বার ক্ষমতায় রেখেছে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “নানা ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও দেশ এগিয়েছে। এবার পবিত্র ঈদুল ফিতরে মানুষ স্বস্তিতে ও নির্বিঘ্নে গ্রামে যেতে পেরেছে।দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে।জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আমরা চাই গণতান্ক্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।”
ঈদের আগে গৃহহীনদের ঘর উপহার দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “ঈদের আগে ৩৩ হাজার ঘর দিয়েছি। জুলাই মাসে আরও ৩৪ হাজার দিব। বাকি থাকবে ৪৫ হাজার, তাও দিয়ে দিলে দেশে ভূমিহীন কেউ থাকবে না।”
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের আজকের সভায় দলের জাতীয় সম্মেলনসহ একাধিক সিদ্ধান্ত হতে পারে। সাড়ে পাঁচ মাস পর এ সভার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা সবাই দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গাজীপুর মহানগর শাখা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র (সাময়িক বহিষ্কার) জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি গণভবনে সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া সাংগঠনিক টিমগুলোকে জেলা সফর ও মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক কমিটিগুলোর সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।