জুলাই ২, ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম
৬ ট্রাকে ৬০ টন ভারতীয় কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে এসেছে। রবিবার (২ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে এই কাঁচা মরিচ প্রবেশ করে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের আমদানি খরচ পড়েছে ৫০ টাকার মতো।
বর্ষা মৌসুমে দেশি কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়া ও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজিতে দেশি মরিচের দাম বেড়ে দাঁড়ায় কেজিপ্রতি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকাতে। এর মধ্যে ঈদ উপলক্ষে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় মূল্য আরও বেড়ে যায়। এদিকে কাঁচা মরিচ আসার খবর শুনে দেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।
একদিনের ব্যবধানে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের বাজারে মরিচের দাম কমেছে ১০০ টাকা। শনিবার মরিচ ৪০০ টাকা কেজি হলেও রবিবার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করতে দেখা যায়।
প্রতি টন কাঁচা মরিচের এলসিমূল্য ৪৫০ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ে প্রায় ৫০ টাকা। দেশে এ মরিচ ৬০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব বলে জানান ভোমরা স্থলবন্দরের এক মরিচ ব্যবসায়ী।
ভোমরা স্থলবন্দরের আরেক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন যদি ভোমরা থেকে ৩০-৪০ ট্রাক কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে ঢোকে, তাহলে দাম এমনিতেই কমে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ‘দেশীয় বাজারে ঝালের দাম এবার স্থিতিশীল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পরে প্রথম দিনেই এ পর্যন্ত ৬ ট্রাক কাঁচা মরিচ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। সন্ধ্যার দিকে আরও মরিচ ঢুকবে। আমাদের যথেষ্ট এলসি ও আইপি পারমিশন আছে। আগামীকাল থেকে প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ ঢুকবে। তখন বাজারে একটা স্থিতিশীল অবস্থা চলে আসবে।’
জানা গেছে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সন্ধ্যায় আরও কাঁচা মরিচ আসবে। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৩৫ টন কাঁচা মরিচ আসবে।