বেঙ্গালুরুতে গত বছর ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। আজ শনিবার সন্ধ্যায় যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের একটি দলের কাছে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব সরকার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, পাচারের শিকার ওই চার তরুণীকে বিকেলে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঢাকা থেকে পুলিশের একটি দল যশোরের বেনাপোল থেকে তাঁকে আনতে গেছেন।
ভারতে ওই বাংলাদেশি তরুণীকে পাচার ও দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৭ বাংলাদেশিসহ মোট ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের রাজধানী বেঙ্গালুরুর একটি বিশেষ আদালত এই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার এক রায়ে চাঁদ মিয়া, মোহাম্মদ রিফাদুল ইসলাম ওরফে হৃদয় বাবু, মোহাম্মদ আলামিন হোসেন, রকিবুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবু শেখ, মোহাম্মদ ডালিম ও আজিম হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২৭ মে ২২ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁকে কেরালায় শনাক্ত করে এবং সেখান থেকে উদ্ধার করে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভারতের আসাম পুলিশ ভিডিওতে থাকা পাঁচ তরুণের ছবি প্রকাশ করে পুরস্কার ঘোষণা করে। পরে বেঙ্গালুরু পুলিশ ওই ঘটনায় দুই নারীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মামলা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের পুলিশ সাইবার টহলের মাধ্যমে ভিডিওতে থাকা রিফাদুল ইসলাম ওরফে টিকটক হৃদয়কে শনাক্ত করেন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা তাঁকে আসামি করে হাতিরঝিল থানায় পৃথক একটি মামলা করেন।