মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে ছেলের বিজ্ঞপ্তি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ১, ২০২২, ০৪:২২ পিএম

মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে ছেলের বিজ্ঞপ্তি

দুই বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর মা অনেকটা একা হয়ে পড়েছেন। দুই ছেলে মাকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। তবে তারা মাকে বাকিটা জীবন ভালো রাখতে চান। তাই মায়ের সম্মতি নিয়ে পাত্র খুঁজছেন সন্তানরা। এ জন্য ফেসবুকে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা ঈয়াদ আলী দুই বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঈয়াদ আলী দুই ছেলে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন ও অনলাইন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ অপূর্ব চান তাদের মা ডলি আক্তারের (৪২) সুন্দর জীবন হোক। তার মায়ের সঙ্গী দরকার। সেই চিন্তা থেকে অপূর্ব শনিবার (৩০ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে “বিসিসিবি মেট্রিমনিয়াল: হেভেনলি ম্যাচ” নামের ফেসবুক গ্রুপে মায়ের জন্য পাত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে অপূর্ব লিখেছেন, বাবা মারা গেছেন। তাই আম্মুর জন্য পাত্র খুঁজছি। মায়ের জন্য কেমন পাত্র চান, তা-ও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছেন ছেলে। মায়ের সঙ্গে মানানসই পাত্র চান। পাত্র ঢাকার আশপাশের হলে ভালো হয়। শিক্ষাগত যোগ্যতা কম হলে সমস্যা নেই।

পাত্রের পেশা চাকরি বা ব্যবসা—যেকোনোটা হতে পারে। ধর্মকর্ম করার পাশাপাশি পাত্রকে সাদামাটা হতে হবে। যিনি মায়ের জীবনের বাকি চলার পথের সঙ্গী হতে পারবেন। পাত্রের বয়স ৪২ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হলে ভালো হয়।

বিজ্ঞপ্তি শেষ করা হয়েছে এভাবে, পারিবারিকভাবেই মায়ের বিয়ে দিতে ইচ্ছুক। বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মা-ছেলে ও মায়ের একার ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

সেই বিজ্ঞাপন ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোচনা। অনলাইন জুড়ে এমন সন্তানের জন্য সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকে।

মা এবং ভাইয়ের সম্মতি নিয়েই এই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন অপূর্ব। রবিবার দুপুরে তিনি দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোকে বলেন, “বাবা মারা যাওয়ার পর মা তার অনেক কথাই আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন না। অনেক কথা বলতে গেলে তিনি একটু দ্বিধায় পড়ে যান। আমরা বড় হয়েছি। আমাদের ব্যস্ততা আছে। এ কারণে আমরা মাকে যথেষ্ট সময় দিতে পারি না। বড় ভাইয়ের সংসার আছে। আমিও ভবিষ্যতে বিয়ে করব। তখন মা আরও একা হয়ে যাবেন। তাই আমরা সবাই চাচ্ছি, মায়ের একটা সুন্দর জীবন হোক। তার একজন ভালো জীবনসঙ্গী দরকার।”

অপূর্বের মা ডলি আক্তার সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “আমার এক ছেলে বিয়ে করেছে। আরেক ছেলে এখনো বিয়ে করেনি। জীবনে চলতে গেলে একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয়। আমার স্বামী মারা গেছেন। এখন ছেলেরা আমার কথা ভাবছে। আমি সম্মতি দিয়েছি। আমি ভালো মনের একজন জীবনসঙ্গী আশা করছি। যিনি তার দুই ছেলে, ছেলেবউসহ পরিবারের সবাইকে আপন করে নিতে পারবেন।”

Link copied!