করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী বিভাগে মৃত্যুসংখ্যা একটু কমেছে। তবে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। করোনা রোগীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিভাগের করোনা চিকিৎসার অন্যতম প্রধান চিকিৎসালয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা থেকেও করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছেন এই হাসপাতালে।
বুধবার (২৮ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ১৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বুধবার (২৮ জুলাই) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো দৈনিক করোনা রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বুধবার (২৮ জুলাই) সকাল ৮ টার মধ্যে তাদের করোনায় মৃত্যু হয় বলে রিপোর্টে বলা হয়।
রামেক হাসপাতালের প্রতিদিনের রিপোর্ট পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন ২১ জন। সোমবার গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ জন মারা গেছেন। রবিবার (২৫ জুলাই) একদিনে মারা যায় ১৪ জন। শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় ১১ জন মারা গেছেন। শুক্রবার(২৩ জুলাই) মারা যায় ২২ জন। বৃহস্পতিবার একদিনে ২২ জনের মৃত্যু হয়। বুধবার ২৪ ঘন্টায় ১৮ জন, মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ২০ জন, সোমবার ১৪ জন ও রবিবার (১৮ জুলাই) ১৭ জন মারা গেছেন।
বুধবার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো রামেক হাসপাতাল রিপোর্টে বলা হয় ‘হাসপাতালের করোনা ইউনিট ও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ৬ জন, নাটোরের ৩ জন, পাবনার ৭ জন, কুষ্টিয়ার ১ জন ও মেহেরপুরের ১ জন রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ২ জন, নাটোরের ১ জন, পাবনার ২ জন ও কুষ্টিয়ার ১ জন করোনা পজিটিভ আক্রান্ত ছিলেন। মৃত অন্য ১২ জন সন্দেহভাজন রোগী হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
রিপোর্টে আরও বলা হয় ‘বুধবার (২৮ জুলাই) গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন। এনিয়ে বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে মোট ৪০৩ জন করোনারোগী ভর্তি আছেন। এদিন গত ২৪ ঘন্টায় ৩৯ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন বলেও রিপোর্টে জানানো হয়।
রামেক হাসপাতালের রিপোর্টে আরও বলা হয়, বুধবার (২৮ জুলাই) পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি মোট ৪০৩ জন রোগীর মধ্যে রাজশাহীর ১৯৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩১ জন, নাটোরের ৬৩ জন, নওগাঁর ৪৯ জন, পাবনার ৫৪জন, কুষ্টিয়ার ১০ জন, জয়পুরহাটের ১ জন, সিরাজগঞ্জের ১ জন ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার ১ জন রয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৪০৩ জন রোগীর মধ্যে করোনায় পজিটিভ শনাক্ত ১৮৩ জন, সন্দেহভাজন ১৭৭ জন ও ৪৩ জন নেগেটিভ রোগী রয়েছেন।