আগামী ২১ জুলাই ঈদ উল আজহাকে সামনে রেখে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হতে রাজধানী থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে। শিথিল লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবারে (১৫ জুলাই) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।
রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে কর্মরত দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলার বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষদের অনেকে বাড়ি ফেরার জন্য শিমুলিয়া ফেরিঘাটে উপস্থিত হচ্ছেন।
একারণে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই অতিরিক্ত যানবাহন ও মানুষের চাপে ফেরি পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।
শিথিল হওয়া লকডাউন চলাকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কোনো স্পিডবোট চলছে না। স্পিডবোটের সার্ভে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) রুট পারমিট না পাওয়ায় এ রুটের সব স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর এই কারণে ফেরিতে ও লঞ্চে নদী পারের জন্য অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল আহমেদ গণমাধ্যমে জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে ৫ শতাধিক যানবাহন রয়েছে।গণপরিবহন ও প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসায় পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে।’
শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা যায়, ‘শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটে ১৮টি ফেরির মধ্যে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে স্রোত থাকার ফলে ছোট ৬টি ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে যাত্রী পারাপারে ৭৮টি লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে, মাওয়া ঘাটে উপচে পড়া ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতি থাকলেও তাদের প্রায় সবাই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন বলে মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দুপুরে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় প্রচুর যাত্রী ও যানবাহন ঘাটে আসছে। যেসব লঞ্চে অধিক যাত্রী ধারণ করা হচ্ছে ও নিয়ম অমান্য করছে, তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নৌ পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা জনগণ মাস্ক পরছেন কিনা এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ফেরি বা লঞ্চে উঠছেন কিনা বিষয়টি তদারকি করছি। অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার দায়ে ৫টি লঞ্চের সারেংয়ের (লঞ্চ চালক) প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেছি।’