জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে সরকার পদত্যাগ না করলে পালাবার পথও খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
‘স্বাধীনতা সংগ্রামে পেশাজীবীদের ভূমিকা: বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপির স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটি।
বিএনপিকে তওবা করে নির্বাচনে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি ওনাকে বলতে চাই, জনগণের কাছে তওবা করে, ক্ষমা ভিক্ষা চান আপনাদের কৃতকর্মের জন্য। যে মানুষ হত্যা করেছেন, আজকে যাদেরকে অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটক করে রেখেছেন তার জন্য জনগণের কাছে করজোরে ক্ষমাভিক্ষা চান এবং নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, “আমরা আহ্বান জানিয়েছি সব রাজনৈতিক দলকে, সব রাজনৈতিক শক্তিকে-ব্যক্তিকে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে-আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।”
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সরকারের ষড়যন্ত্র দাবি করে বিএনপির অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, “আজকে এই সরকারের মদদপুষ্ঠ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে জনগণকে পুরোপুরিভাবে একটা দুঃসহ অবস্থার মধ্যে ফেলেছে। আজকে বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, ১৯৭১ সালে যে লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম সেই লক্ষ্যকে যদি ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে “
সরকার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে ‘গণশুনানি’ করছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “উদ্দেশ্যে এই গ্যাস বিদেশ থেকে আমদানি করা। কারা আমদানি করছে? এই সরকারের যারা উপদেষ্টা, এই সরকারের প্রশ্রয় নিয়ে যারা একছত্র ব্যবসা করছে তারা আজকে গ্যাস আমদানি করছে। সুতরাং তাদের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য আজকে সেটা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।”
আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, পেশাজীবী নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, শওকত মাহমুদ।