অর্থ পাচার করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারাগারে থাকা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলায় সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) সাহেদের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
গত বছরের ২৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন। মামলায় সাহেদ ও পারভেজের বিরুদ্ধে ১১ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৮৯৭ টাকা অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়।
সিআইডি জানায়, সাহেদ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ৪৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা ছিল ৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে তিনি তুলে নেন ৯০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ঋণের ৮০ লাখ টাকাসহ এ মুহূর্তে তার ব্যাংক হিসাবগুলোয় জমা আছে ২ কোটি ৪ লাখ টাকার মতো।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গত বছর দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অতিমাত্রায় দেখা দেওয়ার সময় ভুয়া পরীক্ষা এবং জাল সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ।