সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখা নিয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য ভুল ছিল, দূতাবাসের ভুল স্বীকার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ২৭, ২০২২, ০১:৫২ পিএম

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ রাখা নিয়ে রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য ভুল ছিল, দূতাবাসের ভুল স্বীকার

সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকে অর্থ রাখা বাংলাদেশিদের তথ্য জানানোর বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের বক্তব্য ভুল ছিল বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে সুইস দূতাবাস।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শনিবার এ বিষয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সুইস ব্যাংকের তথ্য চাওয়া নিয়ে বক্তব্য ভুল ছিল বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে সুইস অ্যাম্বাসি।

প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছিলেন, ‘সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির জন্য তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই, সুইজারল্যান্ডে কালো টাকা রাখার কোনও নিরাপদ ক্ষেত্র নয়।’

পরে গত ১১ আগস্ট বিষয়টি নজরে নিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি তা রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে জানাতে বলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এর পরদিন ১২ আগস্ট সাংবািদিকদের ্রএক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, সুইস রাষ্ট্রদূত মিথ্যা বলেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও ফিন্যান্স সেক্রেটারি আমাকে আগে জানিয়েছিলেন, তারা তথ্য চেয়েছিলেন, তারা (সুইস ব্যাংক) উত্তর দেয়নি।” 

গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানায়, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানাতে সর্বমোট ৩ বার চিঠি দেওয়া হয়েছিলো। ওই সময় সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যক্তিদের অর্থ রাখার বিষয়ে তথ্য জানানোর বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের বক্তব্য প্রত্যাহার করা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট। 

শুনানিকালে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।

Link copied!