বেটা
দেশের সপ্তম ধাপে ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০ জেলার ২৪টি উপজেলায় এসব এসব ইউনিয়ন পরিষদে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।
সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমে বলেন, “১৩৮টি ইউপির মধ্যে মাত্র ৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। অন্যগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে।”
তিনি আরও জানান, সপ্তম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৭ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
২০ জেলার ২৪টি উপজেলায় এই ধাপে ৫ হাজার ৮৭৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫৭৬ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রার্থী এক হাজার ২৩৬ জন। এ ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে চার হাজার ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সপ্তম ধাপে মোট ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ৩৫০টি, ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৮৫টি। ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন। এ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন তিনজন।
যেসব জেলায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে:
সপ্তম ধাপে দেশের কুমিল্লা জেলার ২৪টি, রাঙামাটির ১৯টি, রংপুর ১৭টি, চট্টগ্রামের ১৬টি, ময়মনসিংহের ১১টি, কিশোরগঞ্জের ৯টি, নোয়াখালীর ৮টি, সিুনামগঞ্জের ৭টি, পটুয়াখালীর ৬টি, খাগড়াছড়িতে ৫টি, বান্দরবানের ৩টি ইউনিয়নে, ঠাকুরগাঁও, নিলফামারী, জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ জেলার ২টি করে এবং চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, পিরোজপুর, সিলেট ও কক্সবাজারে একটি করে ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একটি মোবাইল টিম এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে।
এ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলায় র্যাবের মোবাইল টিম দুটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। আর প্রতিটি উপজেলা বিজিবির মোবাইল টিম দুটি ও একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। প্রতিটি উপকূলীয় উপজেলায় কোস্টগার্ডের মোবাইল টিম দুটি (২ প্লাটুন), স্ট্রাইকিং ফোর্স একটি (এক প্লাটুন) থাকবে।
প্রসঙ্গত, চলমান ইউপি নির্বাচনে ইতোমধ্যে ছয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯টি এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে এক হাজার ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬ ইউপিতে ভোট হয়েছে। ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে ৭০৮টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট হয়। এরপর ষষ্ঠ ধাপে ২১৬ ইউপিতে ৩১ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হয়। অষ্টম ও শেষ ধাপে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আটটি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
-20241027115010.png)
-20241102183141.jpg)
