কোরবানি ঈদ সামনে রেখে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে দেশে লবণের সংকট নেই। মিল গেটে এখন পর্যাপ্ত লবণ রয়েছে। বর্তমানে প্রতি বস্তা লবণ (৭৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এ বছর লবণের দাম বাড়বে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি।
কোরবানি ঈদে লবণের সংকট নেই
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এ বছর লবণের চাহিদা ২২ লাখ টনের কিছুটা বেশি। উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১৬ লাখ টন। বছরটিতে অন্তত ৬ লাখ টন লবণের ঘাটতি রয়েছে। তবে চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে সাধারণত লবণের চাহিদা থাকে এক লাখ টনের মতো। বর্তমানে মিল গেটে যে পরিমাণ লবণ আছে, তা এই চাহিদার চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, কোরবানির জন্যে লবণের ঘাটতি নেই। আমাদের পরামর্শ হচ্ছে কোরবানিতে ধবধবে সাদা লবণ না ব্যবহার করে নিম্নমানের লবণ ব্যবহার করা। কারণ ধবধবে লবণে চামড়ার কোয়ালিটি নষ্ট নয়।
নাগালের মধ্যেই লবণের দাম
মিল গেটে প্রতি বস্তা লবণের দাম এখন ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে যে লবণ ব্যবহার হয় তা মিলগেটে এখন ৬০০ টাকা। খোলা লবণ মিলগেটে প্রতিকেজি ৮ টাকা আর ভালো মানের লবণ ১০ থেকে সাড়ে ১০ টাকা। কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের সংগঠন বলছে, প্রতিটি বড় চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে ১০ থেকে ১২ কেজি, মাঝারি চামড়ায় ৭ থেকে ৮ কেজি ও ছোট চামড়ায় ৫ থেকে ৬ কেজি লবণ লাগে। কোরবানিতে এ বছর ১ লাখ টন লবণের চাহিদা রয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
ঘাটতি না থাকলেও আমদানি বিদ্যমান
গত কয়েক বছর ধরেই বিসিকের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে লবণ সংকট নেই। কিন্তু প্রায় প্রতিবছরই লবণ আমদানি করতে হচ্ছে। ঘাটতি নেই জানানো হলেও ২০১৬ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন লবণ আমদানি করতে হয়েছিল। ২০১৭ সালে আমদানি করতে হয়েছিল ৫ লাখ মেট্রিক টন। আর ২০১৮ সালে ৯ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানি করা হয়েছে বলে তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। এর পরের বছরগুলোতেও লবণ আমদানি করতে হয়েছে।
দেশে এ বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ কোটি ১৮ লাখ। এ বছর ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। যেখানে গত বছর কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো পশু। দেশে কোরবানি হওয়া সব চামড়াই সংগ্রহ করে থাকেন কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা।