জুন ১২, ২০২২, ০১:১৮ পিএম
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, শিক্ষার জন্য চাই অর্থায়ন; আর উন্নত ও সমৃদ্ধ শিক্ষার জন্য চাই নৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন। রাজধানীর কমরেড মণি সিংহ সড়কের মুক্তিভবনের প্রগতি মিলনায়তনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) শিক্ষক শাখা আয়োজিত 'শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের গতিধারা ও তার পরিণতি'-শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
ড. তাজুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের যে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির আকাঙক্ষা ছিল, স্বাধীনতার ৫০ বছরে তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা নির্ধারণের প্রধান সূচক হলো শিক্ষাখাতে অগ্রগতি।
শিক্ষার জন্য চাই অর্থায়ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য বাজেটে জিডিপির ৭ ভাগ বরাদ্দ ও প্রকৃত শিক্ষা কার্যক্রমে তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, সমাজের অংশ হিসেবে শিক্ষা নিয়ে কথা বলা বা আন্দোলন করার দায়িত্ব সব নাগরিকের। কারণ শিক্ষাই একমাত্র সেক্টর যা বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যতের সেতুবন্ধন তৈরি করে।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ শিক্ষার জন্য শিক্ষাব্যবস্থা পাল্টাতে নৈতিক ও অর্থনৈতিক আন্দোলন করতে হবে। ভারসাম্যপূর্ণ এজেন্ডা তৈরি করে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামতে হবে।
এ এন রাশেদা বলেন, শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দেওয়া হয় না। শুধু বিল্ডিং করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন করা যাবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা চলছে। এগুলো দূর না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় বড় টাওয়ার হচ্ছে। এতে শিক্ষার সংকট দূর হবে না। শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বরাদ্দ সুনির্দিষ্ট করতে হবে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ দূর করতে হবে।
অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ ভূইয়া বলেন, শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের সময় দায়িত্বের কথা বলতে ৫০ শতাংশ শিক্ষা দেওয়ার আর ৫০ শতাংশ গবেষণার কথা বলা হয়। আমাদের দেশে শিক্ষকদের এই গবেষণায় উল্লেখযোগ্য কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না। নিজেকেই নানাভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে হয়। উপযুক্ত শিক্ষা ও উপযুক্ত শিক্ষক সমস্যার সমাধান না করতে পারলে শিক্ষার উন্নয়ন হবে না।
আলোচনায় শিক্ষাবিদগণ প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষাস্তর পর্যন্ত শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন।