ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংর্ঘের জেরে সব আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের বিকালের মধ্যে ছাত্রাবাস ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে।
পরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেন, হল বন্ধ করে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। প্রয়োজনে মার্কেট বন্ধ হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে নিউমার্কেটে ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী কাপড় কিনতে গেলে দোকানদারদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ব্যবসায়ীরা। পরে ঢাকা কলেজের আবাসিক শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট এলাকায় এসে ভাঙচুর চালায়।
শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ। দফায় দফায় চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এ সময় রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের ফলে সড়ক বন্ধ থাকায় ওই এলাকার রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত আড়াইটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত আবারও চলে এ সংঘর্ষ।
দুপুরের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করলে শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকের কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও সংঘর্ষ চলছে।
এ পরিস্থিতিতে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার বিকালের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। আগামী ৫ মে পর্যন্ত হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের দফায় দফায় সংর্ঘের ঘটনায় রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট কর্তৃপক্ষ ওই এলাকায় তাদের সেবা বন্ধ করে দেয়।
মোবাইল অপারেটর সূত্র জানায়, সরকারি নির্দেশনা পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৪টার পর থেকে ওই এলাকায় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।