শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক রুটিনে পুরোদমে ক্লাস শুরু

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১৫, ২০২২, ১০:২৯ এএম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক রুটিনে পুরোদমে ক্লাস শুরু

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে নির্দেশনা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার বিস্তার কমে যাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান ১৫ মার্চ থেকে অব্যাহত থাকবে।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। এটি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেটি বাস্তবায়নে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানিয়ে আলাদা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

এদিকে, দীর্ঘদিন পর পুরোদমে ক্লাশ শুরু হওয়ায় খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস হাইস্কুলসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস ও আনন্দ।

আসফিতুজ জিনাত মুন নামে ভিকানরুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করে বলে, “অনেক দিন পর বেশ খুশি খুশি লাগছে। আমার  সব বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পারবো। এতদিন অনলাইন ক্লাস ও একই শিফটের অর্ধেক করে ক্লাস নেওয়ায় আমারা বন্ধুদের সবার সাথে যোগাযোগ ছিল না। আজ তাদের সঙ্গে কথা হবে। টিফিনের সময় আড্ডা হবে। খুব আনন্দের সাথে সময় পার করবো।”

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও খুব খুশি। জাফর সুমন নামে এক অভিভাবক দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা পুরোদমে ক্লাস করার সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন আমি মনে করি, স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু হওয়ায় তাদের ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।“

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে অনলাইনে চলতে থাকে সব শিক্ষাকার্যক্রম। কিতবে  দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় হাঁপিয়ে ওঠেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এরপর বিভিন্ন সময় স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার দাবি ওঠে।

এসব বিবেচনা করে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২১ জানুয়ারি ফের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এক মাস পর গত  ২২ ফেব্রুয়ারি শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরাসরি ক্লাস চালু করা হয়। এরপর ২ মার্চ সীমিত আকারে প্রাথমিক স্তরে পাঠদান শুরু হয়।

Link copied!