জাবিতে গণঅভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ৬৪ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, সনদ বাতিল ৭৩ জনের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৫, ১২:৩১ পিএম

জাবিতে গণঅভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ৬৪ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, সনদ বাতিল ৭৩ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গতবছর গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ৬৪ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। তারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। পাশাপাশি অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৪৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং ৭৩ জন সাবেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাসনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা-সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। সোমবার রাত সাড়ে ৩টায় সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। খবর সমকাল।

উপাচার্য বলেন, ‘হামলাকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২২৯ জন। এর মধ্যে ৯৯ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ১৩০ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত বর্তমান শিক্ষার্থী। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬৪ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে ২ বছরের, ৮ জনকে ১ বছরের জন্য ও ১ জনকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।’

হামলায় জড়িত থাকায় সাবেক ৯৯ শিক্ষার্থীদের ৭৩ জনের শিক্ষা সনদ বাতিল ও অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ৬ জনের সনদ ২ বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সঙ্গে হামলায় যোগ দেওয়া বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইনের বহির্ভূত বিধায় তাদের বিচারের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি) পাঠানো হবে বলে জানান উপাচার্য।

৪০ শিক্ষার্থীকে অব্যহতি

হামলায় অভিযুক্ত ৪০ জন শিক্ষার্থীকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন বর্তমান শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থী রয়েছেন আরও ২০ জন। তবে তাদের কিসের ভিত্তিতে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি উত্তর দিলে যথাযথ হবে।’

এ নিয়ে অধিকতর তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব বলেন, ‘হামলার সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ না মেলায় অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ কোনো সাক্ষ্য পাইনি এবং ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও তাদের জড়িত থাকার কোনো সূত্র দেখা যায়নি।’

Link copied!