অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের চতুর্থ সম্মেলন গত ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু সম্মেলনের ১৯ দিন পার হলেও এখনো নতুন কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে এরই মধ্যে রুয়েট ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপত্যাশী দুই নেতার বেশ কিছু অপকর্মের ভিডিও দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের রাবি প্রতিনিধির হাতে এসেছে।
এদের মধ্যে রুয়েট ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী ইলেকট্রনিক অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৫ সিরিজের শিক্ষার্থী লাশিউর রহমান নাহিদের মাদক সেবনের (বং নেশা) একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে আসে।
আর অপর এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ রাতে রুয়েটের কম্পিউটার কৌশল বিভাগের ১৬ সিরিজের শিক্ষার্থী সৌমিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদ হলে শিক্ষার্থীদের রুম থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া সৌমিক সাহার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে যুক্ত থেকে ফেসবুকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন পোস্ট দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
রুয়েট ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক নাহিদের মাদক সেবনের ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি প্লাসিকের বোতলে লিকুইড জাতীয় কিছু নেশাদ্রব্য ঢুকিয়ে (বং নেশা) সেখান থেকে নিশ্বাসের মাধ্যমে ধোঁয়া টেনে নিয়ে তা ছেড়ে দিয়ে হাঁফিয়ে যাচ্ছেন।
মাদক সেবনের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা নাহিদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সদ্য বিদায়ী কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমিক সাহা। তিনি রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইসফাক ইয়াসশির ইপুর অনুসারী।
অভিযোগ আছে, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হামিদ আবাসিক হলে তৎকালীন রুয়েট শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেকেই নিজেদের কক্ষ ত্যাগ করে বাইরে চলে যায়। এই সুযোগে ওই দিন রাতে সভাপতি অনুসারী সৌমিক সাহার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ হলের বিভিন্ন ব্লকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কক্ষে ঢুকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এমন একটি ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে আসে।
হলের ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে সৌমিক সাহার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুয়েট ছাত্রলীগ নেতা আবির তানভীর। তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের রুমে রুমে গিয়ে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ল্যাপটপ, মোবাইল, ক্যালকুলেটরসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সৌমিক সাহাকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।