জুলাই ১৮, ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পরে অবস্থান নেয় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বেলা পৌনে ১১টার দিকে ব্র্যাকের শিক্ষার্থীদের অবরোধের এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় প্রথমবার শিক্ষার্থীরা পিছু হটলেও পরে তারাও পুলিশের দিকে তেড়ে আসেন। শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন, এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ফাটায়। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভেতরে অবস্থান করছেন।
মেরুল বাড্ডা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে যায়। বাইরে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি দোকানপাট, স্থাপনায় ভাঙচুর চালানো হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে আন্দোলনকারীদের দিকে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে অনেক পুলিশ দেখা গেছে। সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান রাখা রয়েছে। মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে ১০ নম্বরের গোলচত্বর পর্যন্ত বেশির ভাগ মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন ও লোকজনের চলাচল খুবই কম।
‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ আজ কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) পালন করছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচি চলাকালে শুধু হাসপাতাল, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার ছুটির দিনেও ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্রবিক্ষোভ, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ, গায়েবানা জানাজা, কফিন মিছিল এবং দফায় দফায় সংঘর্ষ এবং পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রাতে শনির আখড়ার কাজলা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অন্তত ২০টি জায়গায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সড়কের বিভিন্ন জায়গায় গাছের গুঁড়ি ও ইট ছড়িয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এবারের কোটা আন্দোলন চলাকালীন গত দুই দিনে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মীসহ মারা গেছে অন্তত ৭ জন।