ঢাবিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত, বাইরে বিজিবির অবস্থান

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ১৭, ২০২৪, ০৬:০৮ এএম

ঢাবিতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত, বাইরে বিজিবির অবস্থান

ছবি: সংগৃহীত

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাহারায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের জরুরি সভা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সভা থেকে আসতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের কার্যালয়ে এই সভা শুরু হয়। এ সময় তার কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক বিজিবি সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। বিষয়টি সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষের জেরে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে এই বৈঠক শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম। এই বৈঠক থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ও হল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা ও শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার বিষয়ে নির্দেশনা দিতে উপাচার্যদের চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

আরও পড়ুন: এবার পাবলিক-প্রাইভেট সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন

এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সব শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।

কোটা বাতিলের আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে আজ মঙ্গলবার ও আগের দিন সোমবার দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। এতে আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

Link copied!