‘ছাত্রলীগের’ হামলায় সাংবাদিক সাব্বির গুরুতর আহতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২২, ২০২৪, ১১:৪২ পিএম

‘ছাত্রলীগের’ হামলায় সাংবাদিক সাব্বির গুরুতর আহতের অভিযোগ

সংগৃহীত ছবি

রড, লাঠিসোটা নিয়ে সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক সাব্বির আহমেদকে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এতে সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ গুরুতর জখম হয়েছেন। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে।

লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে সাব্বিরকে গুরুতর জখম করা হয়।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল শেষে অফিসে যাওয়ার পথে মুখোশ পরা দুই ব্যক্তি তার পথ আটকায়। তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে ওই দুজন সাব্বিরকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়।

সাংবাদিক সাব্বির আহমেদকে পেটানোর সময় তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করতে থাকে দুর্বৃত্তরা।

হামলাকারীদের ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ উল্লেখ করে আহত সাংবাদিক সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘যারা হামলা করেছে তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। আমি যেন তাদের চিনতে না পারি এজন্যই তারা মুখোশ পরা অবস্থায় হামলা চালায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ডিপার্টমেন্টের ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর হামলা করে।’

সাব্বির বলেন, ‘তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।’

আহত সাব্বির বলেন, ‘কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল। ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে হামলার বিষয়টি জানানো হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

ছাত্রলীগের তিতুমীর কলেজ সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কে বা কারা হামলা করেছে সে সম্পর্কে আমি জানি না।’

উল্লেখ্য, ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এ হামলা করে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে অভিযুক্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Link copied!