ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ১১:৫১ পিএম
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) খেলোয়াড়রা। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাবির জনসংযোগ দপ্তর। তাদের এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে প্রত্যাখ্যান করে পাল্টাপাল্টি আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে রাবি প্রশাসন।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, খেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দল যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশত শিক্ষার্থী মাঠে ঢুকে ঢাবি ক্রিকেট টিমের খেলোয়াড়দের উপর অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং হামলা চালায়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিমের ৫/৬ জন খেলোয়াড় গুরুতর আহত হয়। এ ধরনের হামলা অখেলোয়াড়সুলভ এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।
আরও পড়ুন: রাবিতে ঢাবির খেলোয়াড়দের ওপর হামলা, আহত ৪
অন্যদিকে রাবির জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রাবি ও ঢাবির মধ্যকার ফাইনাল খেলায় পূর্ব থেকেই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। তবে, খেলার চূড়ান্ত পর্যায়ে রেফারির একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ও ঢাবির খেলোয়াড়দের অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের পরিপ্রেক্ষিতে স্টেডিয়ামের দর্শক সারি থেকে বেশ কয়েকজন মাঠে প্রবেশ করলে এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে খেলাটি সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে দুজন আম্পায়ার ও দুই দলের ম্যানেজারের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে ম্যাচ রেফারি দুই দলকে যৌথ-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন। রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার মাঠে থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যাটি নিরসনের চেষ্টাও চালান। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এছাড়া ঢাবির বিজ্ঞপ্তিটি ‘অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে যে ভাষায় ঢাবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে তা অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক। এর আগেও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খেলাকে কেন্দ্র করে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে এবং সেসকল স্থানে রাবির খেলোয়াড়দের ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শেখ কামাল স্টেডিয়ামে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ঢাবির খেলোয়াড়রা প্যাভিলিয়নে আশ্রয় নিলে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ তাদের নিরাপত্তা দেয়। নতুনভাবে খেলা শুরু করতে না পারায় দুই দলকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে ম্যাচ রেফারি। পরে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাসে করে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।