সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীরা এবার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড ঘোষণা করেছেন। বুধবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের সড়ক ও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র নেতারা এই ঘোষণা দেন। তারা জানান, কোটা আন্দোলন আদালত নয়, নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা জানান, আজ দেশের বিভিন্ন জায়গার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণসংযোগ করেছেন তারা। আদালতের নির্দেশের বাইরেও তারা সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাছে কোটা সংস্কার নিয়ে লিখিত আশ্বাস চান। এজন্য তারা বুধবার সকাল-সন্ধ্যা ব্লকেড পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাত সদস্য ২০২১ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এই রিটের চূড়ান্ত শুনানিতে গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ৪ জুলাই প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২ জুলাই থেকে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ৭ ও ৮ জুলাই তারা দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন।