রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৪, ২০২৫, ১২:২৭ পিএম

রাবির তিন শিক্ষক বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং আরও দুই শিক্ষার্থীকে ভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট।

বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে ৩ বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত ও ১০ বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজ থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ছাড়া দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল, একজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার এবং দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিন্ডিকেটের তারিখ থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

অভিযোগ ও তদন্তের বিবরণ

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদনযোগ্যতার ফলাফল না থাকা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশিক্ষকসুলভ আচরণ এবং হুমকি দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ীই বর্তমান শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে চলতি বছরের আগস্ট মাসে এক ছাত্রীকে ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা ১৩ আগস্ট বিভাগের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন এবং ওই সময় বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করে আন্দোলন করেন।

গত ১১ মে ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহকে একই বিভাগের ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে আটক করা হয়। এ ঘটনায় একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীদের পরিচয় গোপন রাখার অনুরোধ

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনা করে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, “আমরা চাইছি শিক্ষার্থীদের নামগুলো গোপন থাকুক। কারণ, তাঁদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছে।”

Link copied!