ভিকারুননিসায় যৌন হয়রানি : মামলার পর গ্রেপ্তার অভিযুক্ত শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম

ভিকারুননিসায় যৌন হয়রানি : মামলার পর গ্রেপ্তার অভিযুক্ত শিক্ষক

সংগৃহীত ছবি

ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে ঢাকার কলাবাগানের বাসা থেকে এ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে লালবাগ থানা পুলিশ। 

লালবাগ থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন জানান, রাত ১২টার কিছু পরে শিক্ষক মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন বাদী। 

এর আগে রাত ৮টার দিকে রাজধানীর লালবাগ থানায় সালমা হক নামে এক অভিভাবক বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

একই দিন রাতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘তদন্ত কমিটি ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি গঠন করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

তদন্ত কমিটিতে কারা আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনো কমিটি গঠন করা হয়নি। শিগগির এ কমিটি গঠন করা হবে।’

গত শনিবার ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে আজিমপুর ক্যাম্পাসের দিবা শাখার ওই জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। এরই মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এর আগে গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের ফটকে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা বেলা ৩টার দিকে আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা দেয়। বিকেলে একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন কয়েকজন অভিভাবক।

বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পেত না। তারা এই শিক্ষককে তাদের স্কুলে দেখতে চায় না।

বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক দফায় ছাত্রীদের কাছে যান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও অন্য শিক্ষকেরা। তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে সময় চান।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ‘প্রত্যাহার নয় বরখাস্ত চাই, শাস্তি চাই’, ‘নিরাপদ স্কুল চাই, শাস্তি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় তারা নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে।

Link copied!