ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা ও শিক্ষার্থীদের চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গেরুয়া বাজারে এ ঘটনায় প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়। অন্য শিক্ষার্থীদের আহত অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত ১০ টার দিকেও তাদের আটকে রাখার খবর পাওয়া যায়। তবে প্রশাসন এ বিষয়ে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
খবর পেয়ে আশেপাশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
জাহাঙ্গীরনগব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘শুনেছি গেরুয়া বাজারে মেসে থাকা আমাদের অনেক শিক্ষার্থীর বাসায় স্থানীয়রা তল্লাশি চালাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বাইরের শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমি নেব না।’
সন্ধ্যায় সাভার থানার ওসি (তদন্ত) এফ এম সাঈদ বলেন, আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মেস ও বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। এর মধ্যে শুধু গেরুয়া এলাকায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী থাকেন। কয়েক শ শিক্ষার্থী বসবাস করেন বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন আমবাগান ও ইসলামনগর এলাকায়। সংঘর্ষের ঘটনার পরও গেরুয়া এলাকার মেস ও বাসাবাড়িতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আটকা আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতায় তাঁদের অনেকে ফেসবুকে সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেন।
রাত নয়টার দিকে ঘটনাস্থল গেরুয়া এলাকার এক ছাত্র একটি টিভি চ্যানেলকে বলেন, এখনও অনেক ছাত্র আহত অবস্থায় স্থানীয়দের হাতে আটকা আছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, তারা আমাদের দায় নেবে না! এরকমটা বলা অমানবিক। পুলিশের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। তারা উপরের আদেশ ছাড়া কিছু করতে পারবে না বলে জানাচ্ছে। এটা দুঃখজনক।