জুন ৫, ২০২২, ০৮:৩৬ পিএম
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) পরিসর বাড়িয়ে ১০০ একরে উন্নীত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণরসায়ন সম্পর্কিত বিষয় খোলার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।
রবিবার পাবিপ্রবি’র ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তিনি এ আশ্বাস দেন। রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সকাল ৯ টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাসিনা খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, “সবাইকে নিয়ে একসাথে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। প্রতিটি কাজের মধ্যে আমাদের একাগ্রতা ও প্রকৃত ইচ্ছা থাকতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে কাজ করা এবং সবার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।”
সম্মান প্রদানেই সম্মান ফিরে পাওয়া যাবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি জায়গা থেকে যার যে কাজ সেটা করতে হবে এবং কাজের স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। তিনি আরও বলেন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন বিষয়ে অবদান রাখছে। তাঁদেরকে আমাদের বেশি বেশি অনুপ্রেরণা দিতে হবে।“
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. হাসিনা খান বলেন, “জীবনে কোনো ভালো কাজ সংগ্রাম ছাড়া সম্ভব হয়না। মেয়েদের আরো বেশি প্রতিকূলতার মধ্যে সংগ্রাম করতে হয়। মেয়েদের বিজ্ঞান শিক্ষায় এগিয়ে আসার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, জীবনে ভালো কিছু পেতে হলে আমাদের নির্লোভ, সৎ, মিতব্যয়ী এবং সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনে ক্ষতিকর বিষয়গুলোকে প্রতিহত করতে হবে। চলার পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে।”
এর আগে, কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চ উদ্বোধন, জনক জ্যোতির্ময়, শহীদ মিনার ও স্বাধীনতা চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের নান্দনিক ফ্ল্যাশমব পরিবেশনা, বিশ্ব পরিবেশ দিবস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা পুরস্কার বিতরণ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পরিবেশনা এবং ব্যান্ড দল 'জলের গান' এর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক পর অনুষ্ঠিত হয়।