ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০২:২৯ পিএম
‘মেয়েটি এখন কী করবে?’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় ২০১৩ সালের ৬ জুন দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজা হয়। সন্তানের জন্ম দেন ওই তরুণী। পরবর্তীতে তিনি নার্সিং কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে পড়েন বিপাকে।
অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সন্তান থাকায় তাঁর ভর্তি ফরমে বিবাহিত নারী হিসেবে গণ্য করা হয়। এর বদলে স্বামী পরিত্যক্তা লেখার কথা বলা হয়। অথচ মেয়েটি এদুটির কোনোটিই না। তাঁর ভর্তি হতে না পারার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করলে এতে রুল জারির পাশাপাশি ওই মেয়েকে নার্সিং কলেজে ভর্তির সুযোগ দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এর পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থার তথ্য জানতে চাওয়া অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের রুল আংশিক মঞ্জুর করে বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের বেঞ্চ এই রায় দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈবাহিক অবস্থা জানতে চাওয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দেওয়া হয়।