মার্চ ২৭, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘প্রলয় গ্যাং’ এর সদস্যদের বহিষ্কার ও বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহন করা শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ছিল, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েরের ওপর হামলায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গ্যাং কালচার নির্মূলকরনের দাবিও তুলেছে তারা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, “সংঘবদ্ধভাবে একজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করা খুবই ভয়ানক বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস -ঐতিহ্যের সঙ্গে যায় না। এর আগে এ ধরনের অপরাধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনেক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দিয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখি। আশা করছি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আগামীতে এ ধরনের গ্যাং কালচার থেকে মুক্ত থাকবে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।”
মানববন্ধনে জোবায়েরের সহপাঠী জামিল শামস শাফী বলেন, “জোবায়েরের ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে তা কোনো সুস্থ মানুষ করতে পারেনা। আমরা চাই না এই ক্যাম্পাসে আর কোনো অপরাধী চক্র গড়ে উঠুক, কোনো গ্যাং তৈরি না হোক। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই।”
আহত জোবায়েরের আরেক সহপাঠী জান্নাতী ঈশা বলেন, নিরাপদ ক্যাম্পাসের জ্য প্রলয় গ্যাংয়ের মতো অন্যান্য সকল গ্যাংয়ের নির্মূল চাই।
জোবায়েরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল আলিম গালিব বলেন, গ্যাং কালচার সম্পূর্ণ নির্মূল করা হোক এটা আমাদের প্রথম চাওয়া।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দিন হলের মাঠের পাশে জোবায়েরকে আক্রমন করে ‘প্রলয়’ নামে একটি দল। মারধরকারী শিক্ষার্থীরা জোবায়েরের ব্যাচের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাদিয়া আফরোজ খান। লিখিত এ অভিযোগে জোবায়েরের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬-৭ জনের নাম উল্লেখ করেন।