ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসাহ উদ্দীপনায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবন, ওডিভিলাস, কাসকাইস, দামাইয়া, বাণিজ্যিক বন্দর নগরী পোর্তো, পর্যটন নগরী আলগার্ভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর কোইমব্রা, কৃষি শহর ওডিমিরায়সহ সারা দেশের মুসলমানগণ পালন করলেন ঈদুল ফিতর।
বাংলাদেশী অধ্যুষিত পর্তুগালের লিসবনের মাতৃ মনিজ পার্কের মাঠে দেশটির সর্ব বৃহৎ ঈদের জামাত সকাল আট টায় অনুষ্ঠিত হয়। লিসবন বায়তুল মোকারম মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা আবু সায়িদ ঈদ উল ফিতরের জামাত পরিচালনা করেন, নামাজ পূর্বে ঈদ উল ফিতরের তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করেন মাওলানা আলাউদ্দিন এবং কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন জুবায়ের আহমেদ।
পর্তুগালের নিযুক্ত বাংলাদেশের দুতাবাসের রাষ্টদূত তারিক আহসান, দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কনসুলেট প্রধান আবদুল্লাহ আল রাজি, দূতালয় প্রধান আলমগীর হোসেনসহ দুতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং পর্তুগাল কমিনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন।
এছাড়াও বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক শহর পোর্তোর বাঙালি অধ্যুষিত রুয়া দে লউরেইরোর হযরত হামজা (রঃ) মসজিদে ঈদ উল ফিতরের দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পোর্তোর বাংলাদেশ কমিনিটির নেতৃবৃন্দ সহ ঈদের জামাত গুলোতে বাংলাদেশীদের পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, মধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা এবং পশ্চিমা বিশ্বের বিভন্ন দেশের অন্যান্য কমিউনিটির ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মুসলমানগণ অংশ নেন।
করোনা মহামারি কাটিয়ে পর্তুগালের জীবনযাত্রার মান স্বাভাবিক হওয়াতে এবারের ঈদে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত অংশগ্রহন ছিল লক্ষণীয়। সেই সাথে ঈদের জামাতের পর ইসলামিক প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী মুসল্লীরা কোলাকুলি এবং কুশল বিনিময় করে। তবে লিসবনের বাংলাদেশীদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পাজামা পাঞ্জাবিতে বাংলাদেশীদের ঈদের ময়দানের দিকে ছুটে চলা যেন বাংলাদেশের কথাই মনে করিয়ে দিলো। ফলে পর্তুগালের লিসবনের মাতৃ মনিজ পার্কের ঈদগাহ ময়দান প্রবাসের বুকে যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ হয়ে উঠল।
এ ছাড়া লিসবনের সেন্ট্রাল জামে মসজিদ ও পোর্তোর হযরত বেলাল (রাঃ) জামে মসজিদে দুইটি করে, ওডিভিলাস ঈদগাঁও, দামাইয়া, আমাদোরা, রিবাইরালো, মিলপন্তেস, আলবুফেইরা, লংগাইরা, আলগ্রাব, ফারো, কাসকাইস, ওডিমিয়ারা খেলার মাঠ, কোইমব্রা জামে মসজিদে একটি করে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসব ঈদ জামাতে পর্তুগালে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের ধর্ম প্রাণ উল্লেখযোগ্য বিপুল সংখ্যক মুসলমান ঈদ উৎসব পালন করেন।