বিশ্বের দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিখ্যাত শহরগুলোও। পর্তুগালের বন্দর নগরী পোর্তোও এখন ব্যস্ত। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় পাল্টে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদের চিত্র। প্রতি দিনই মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে ইফতার এবং প্রতিটি নামাজের ওয়াক্ত। সেই সাথে ইফতার মূহুর্তে কাতারে কাতারে পূর্ণ হয়ে উঠছে মসজিদ প্রাঙ্গণ। দীর্ঘ দুই বছর পর আবারো পোর্তোর হযরত হামজা (রাঃ) জামে মসজিদ এবং পোর্তোর কেন্দ্রীয় মসজিদে দেখা গেল মুসলমানদের একই উৎসবের আমেজ।
বাংলাদেশি পরিচালনাধীন পোর্তোর সেন্টারের সাওবেন্তের হযরত হামজা (রাঃ) মসজিদ হওয়ার কারণে রোজার মাসে পোর্তোর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বাংলাদেশিরা। পুরো মাসব্যাপী মসজিদে আয়োজন করা হয় ইফতার মাহফিলের। যার ফলে সৃষ্টি হয় একটি ভিন্ন রকম উৎসব মুখরতার।
রমজানের ইফতার উপলক্ষে কমিউনিটিতে গড়ে উঠে আন্তরিক সম্পর্ক, যা দূর করে মনের দূরত্ব, বাড়ে ঘনিষ্টতা, জোরদার হয় ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব। আর মাস ব্যপি এই ইফতারে ভারত, পাকিস্তান, আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনিসিয়া, মিশর, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা যোগ দেন।
প্রতিদিন মসজিদে ২৫০ থেকে ৩০০ মুসল্লি ইফতারে অংশ নেন। মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও আন্তরিক আতিথেয়তায় ঐশ্বরিক মুগ্ধতায় নানা বয়সী, বিভিন্ন পেশার মানুষ ইফতার করেন। প্রবাসের কর্মব্যস্ততার কারনে অনেক সময় পরিবার-পরিজনহীন প্রবাসীদের ইফতার বানানো হয়ে ওঠে না। তাই মসজিদপানে ছুটে আসেন প্রবাসীগণ। কাতারে কাতারে সম্মিলিতভাবে ইফতারে আর দোয়ায় শামিল হন।
মসজিদের খতিব মাওলানা ইদ্রিস খাঁন প্রতিদিন ইফতার পূর্বে রমজান এবং ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে তাৎপর্য নিয়ে বয়ান করে থাকেন। উক্ত ইফতার আয়োজনে বাংলাদেশ কমিউনিটির মোশারফ হোসেন কিরন, শাহ আলম কাজল, আবদুল আলিম, মো. খোকন, তাজুল ইসলাম, কাজল আহমেদ, মনির হোসেন, মামুন হাজারী, নাজির আহমদ সহ ৯ সদস্যর উপদেষ্টা এবং চঞ্চল, শামীম, বুলবুল, নবিউল, মমিন এবং সজিব ৬ সদস্যর খাদেম কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। ইফতার আয়োজনের সার্বিক সহযোগিতায় থাকে বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তো।