ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বে প্রথম ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে ডেঙ্গুর গণটিকা কর্মসূচি। যা নিতে পারবে শিশুরাও। সরকারের আশা, এই বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে টিকা পাওয়া যাবে ৬৫ লাখ। জাপানের দুই ডোজের কিউডেঙ্গা টিকা।
জানুয়ারিতে ব্রাজিলে ডেঙ্গুতে মারা গেছে ৬ জন, আক্রান্ত হয়েছে ৫৬ হাজার। যা এই সময়ে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ।
২০২৩ সালেও এর আগের বছরের চেয়ে ৫৭ শতাংশ ডেঙ্গুরোগী বেড়েছে। সেই অনুপাতে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন এবার ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়বে।
এ পরিস্থিতির মধ্যে ব্রাজিলবাসীকে সুখবর দিলো সরকার। ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণটিকা কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বলা হয়েছে, প্রথম দফায় টিকা আসবে সাড়ে সাত লাখ। সব মিলিয়ে এ বছর ৬৫ লাখ টিকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
ব্রাজিলে দেয়া হবে জাপানি ফার্মাসিউটিক্যাল-তাকেদার কিউডেঙ্গা টিকা। গত ডিসেম্বরে এ টিকার অনুমোদন দেয় ব্রাজিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বছরে বিশ্বের ১০ থেকে ৪০ কোটি মানুষ এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ডেঙ্গু বেড়েছে। ২১০০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ৩৬ শতাংশ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।