কতটুকু লবণ-চিনি আমাদের ডায়েটে থাকা উচিত?

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

কতটুকু লবণ-চিনি আমাদের ডায়েটে থাকা উচিত?

সংগৃহীত ছবি

অনেকেই মনে করেন, লবণ খেলে ওজন বাড়ে। তবে এ বিষয়টি আসলে কতটুকু সত্যি, লবণ খেলে আসলেই কী ওজন বাড়ে বা কমে? আবার চিনির প্রতি আমরা প্রত্যেকেই কমবেশি আসক্ত। তারপরও আমাদের এই দুঃসাধ্যকে সাধন করতে হয় প্রতিনিয়ত। কারণ স্বাস্থ্যকর জীবনের পথে চিনি একটি বড় বাধা।

তবে মিষ্টি পুরোপুরি বর্জন করাটা কি খুবই জরুরি? মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে বেড়ে যায় ওজন। এজন্য কতটুকু চিনি খাওয়া উচিত?

লবণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ খেলে ওজন বাড়ার সমস্যাটা আসলে একটা মিথ। অনেকেই মনে করেন লবণ বেশি খেলে শরীরে পানির পরিমাণ বেড়ে যায়। আসলে এ কথাটা পুরোপুরি সত্যি নয়।

বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভোগেন, তাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে লবণ খেতে হবে। না হলে তাদের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।  
এখন প্রশ্ন হলো– তা হলে প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাবেন? আসুন জেনে নিই প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাবেন-

১. একজন সুস্থ মানুষের প্রতিদিন এক চা চামচ লবণ খাওয়া উচিত। কাঁচালবণ না খেয়ে তরকারিতে লবণ খান।

২. লবণের অভাবে শরীরে সোডিয়ামের অভাব হয়। আর প্রেশার কমে যায়, মাথা ঘোরা ছাড়াও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকা থেকে লবণ পুরোপুরি বাদ দেয়া যাবে না।

৩. পাউরুটি, চিপস, সস, চিজসহ অনেক খাবারে লবণ থাকে। এগুলো খাওয়ার সময় লবণের পরিমাণ লক্ষ্য রাখতে হবে।

৪. কিডনির সমস্যা থাকলে ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে খাবারে লবণের পরিমাণ ঠিক করুন।

চিনি

যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, একজন ব্যক্তি দিনে যতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করবে তার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পরিমাণ চিনি খাওয়া উচিত, এর বেশি নয়।

আবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা তা কমিয়ে ১০ থেকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক, যার বডি ম্যাস ইনডেক্সের মাত্রা স্বাভাবিক, তার জন্য বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বরাদ্দ দিয়েছে দিনে মাত্র ছয় চা-চামচ চিনি, অর্থাৎ প্রায় ২৫ গ্রাম। আর এই সবগুলো বিধি-নিষেধ ‘অ্যাডেড সুগার’য়ের জন্য প্রযোজ্য।

প্রক্রিয়াজাত চিনি বেশি খেলে কী হয়?

সামান্য থেকে মারাত্বক পর্যন্ত নানান জটিলতার পেছনে ভূমিকা রয়েছে প্রক্রিয়াজাত চিনির। মনযোগে বাধা আসতে পারে। মন মেজাজ হুট করে বদলে যেতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা লাফালাফি শুরু করতে পারে। শরীরে বিভিন্ন সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর মাত্রায় ওজন বাড়তে পারে। সঙ্গে হৃদরোগ এবং ডায়বেটিসের মতো মারাত্বক রোগের ঝুঁকি তো আছেই।

Link copied!