থাইরয়েড হলে কী খাবেন, কী খাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক

মে ২৫, ২০২৪, ১২:০২ পিএম

থাইরয়েড হলে কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রতীকী ছবি

অধুনাকালের চিকিৎসকরা গলার পরের অংশে স্থিত থাইরয়েড গ্রন্থিকে নীরব ঘাতক হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। সময়মতো চিকিৎসা না করানো হলে অবস্থা বিপজ্জনক হতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।

এই নিবন্ধে আপনি জানতে চলেছেন থাইরয়েডের উপসর্গ, এতে আক্রান্ত রোগীর খাবারদাবার এবং থাইরয়েড পরীক্ষা বা টিএসএইচ পরীক্ষার জন্য স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে। চলুন শুরু করা যাক-

কেন হয় থাইরয়েড
থাইরয়েড রোগের দুটি প্রধান ধরন হলো হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম। উভয় অবস্থাই অন্যান্য রোগের কারণেও ঘটতে পারে যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে প্রভাবিত করে।

রোগীকে খেতে হবে যেসব খাবার
১. থাইরয়েড রোগীকে আয়রন আছে এমন খাবার খেতে হবে। বিশেষ করে চিকিৎসকরা পালং শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে।
২. এই খনিজ উপাদান থাইয়েড হরমোনকে সক্রিয় করে তোলে সেলেনিয়াম। শরীরের কোষগুলো হরমোনকে কাজে লাগাতে পারে। এছাড়া এর আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্ষমতা। সেলেনিয়ামের উৎকৃষ্ট উৎস হলো ব্রাজিল বাদাম, টুনা মাছ ও ডিম।
৩. জিংকও থাইরয়েড হরমোনকে সক্রিয় রাখতে সহায়তা করে। এটা টিএসএইচ নামক হরমোন নিঃসরণ প্রভাবিত করে, যা মূলত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এতে জিংকের অভাবে থাইরয়েডের কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর অন্যতম উৎস চিংড়ি, গরু ও মুরগির মাংস, কাঁকড়া, ঝিনুক প্রভৃতি।
৪. চিকিৎসকরা বলেছেন, আইসক্রিম ও দই খেলেও থাইরয়েড উপশম হয়।
৫. গরুর দুধেও থাইরয়েড থেকে সুরক্ষা পেতে পারেন। কেননা দুধ এমন একটি খাবার যাতে সব উপদান যেমন আমিষ, শর্করা, স্নেহ বা চর্বি জাতীয়, ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি বিদ্যমান। এই কারণে দুধকে বলা হয় সুষম খাদ্য।

এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার
১. থাইরয়েডে ভুগছেন? তাহলে আপনাকে অবশ্যই ফাস্ট ফুড অর্থাৎ বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ সারাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ব্রোকলিম বাঁধাকপি এবং এ-জাতীয় সবজি থেকে দূরে থাকতে হবে।

থাইরয়েডের স্বাভাবিক মাত্রা
থাইরয়েড গ্রন্থি রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রথমে আপনাকে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেবেন। তিন মাস পর পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনটি ধাপে সময়মতো এসব পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।

থাইরয়েড পরীক্ষা বা টিএসএইচ পরীক্ষার স্বাভাবিক মাত্রা:
প্রথম ত্রৈমাসিক: 0.3-5 mIU/L
দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক: 0.3-6 mIU/L
তৃতীয় ত্রৈমাসিক: 0.7-2 mIU/L

Link copied!