আগস্ট ২৬, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাস করার আহ্বান জানিয়েছে ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়োর (ডর্প)। একই সঙ্গে তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোলের (ডব্লিউএইচও এফসিটিসি) আর্টিকেল ৫.৩ লঙ্ঘন না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসি’র বাস্তবায়ন ও আর্টিকেল ৫.৩ প্রতিপালনে সরকারের কাছে প্রত্যাশা” শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সভাপতি ড. আবু মুহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় এবং লাখ লাখ মানুষ অসুস্থ হয়। অথচ তামাক কোম্পানিগুলো মুনাফার আশায় মিথ্যা প্রচার করছে যে, খসড়া সংশোধনী পাস হলে সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। ২০০৫ সালে আইন প্রণয়ন ও ২০১৩ সালে সংশোধনের পর গত ১৮ বছরে সরকারের রাজস্ব আয় সাড়ে ১২ গুণ বেড়েছে। একই সঙ্গে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তামাক ব্যবহার ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তাই তামাক কমলেও রাজস্বে প্রভাব পড়ে না।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সম্প্রতি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির মতামত গ্রহণের প্রস্তাব ডব্লিউএইচও এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.৩ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বাংলাদেশ যেহেতু এই কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী দেশ, তাই আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া থেকে তামাক শিল্পকে সম্পূর্ণ দূরে রাখতে হবে।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, খসড়া সংশোধনীতে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো—ডিএসএ (ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান) বাতিল, বিক্রয়স্থলে প্রদর্শন নিষিদ্ধ, ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণ, তামাক কোম্পানির সিএসআর বন্ধ, খুচরা বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো দ্রুত পাস করতে হবে।