আত্মহত্যা প্রবণতা কাটিয়ে উঠবেন যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ১২:০২ এএম

আত্মহত্যা প্রবণতা কাটিয়ে উঠবেন যেভাবে

প্রতিদিন প্রতিমুহুর্তে সারাবিশ্বে কেউ না কেউ আত্মহত্যায় মারা যাচ্ছে। বছরে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যায় নিজের জীবন দিচ্ছে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। কেন মানুষ নিজের জীবন নেয়? তার পেছেনের কারণ আমাদের অনেকের জানা নেই। গবেষকরা অনেক কারণ নির্দেশ করেছেন ঠিক কি কারণে মানুষ আত্মহত্যায় উদ্বুদ্ধ হয়। তবে অনেকে কারণ জানা থাকার পর নিজেক আত্মহত্যার চক্র থেকে বের করতে পারে না। আর ঠিক এখানেই আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। অর্থাৎ, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে মানুষ মারা যায় আত্মহত্যায়। তারা আরো বলছে, নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে শতকরা ৭৭ জন এই নিম্-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। এছাড়াও আরেকটি আতঙ্কের বিষয় হলো, আত্মহত্যায় যারা মারা যান তারা ছাড়াও শতকরা ২০ শতাংশ মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কিন্তু তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। 

প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা। উদ্দেশ্য মানুষকে আত্মহত্যা না করতে সচেতনতা তৈরি করা। আত্মহত্যার প্রবণতা কমাতে আমরা নিজে এবং অন্যকে কিভাবে সহায়তা করতে পারি তাই নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

চাপ সামলাবেন যেভাবে:

জীবনে চাপ আসাটাই স্বাভাবিক তবে মাঝে মাঝে চাপ আমাদের সহ্যসীমা অতিক্রম করে যায়। তখন আমরা অনেক সময় নিজেরাই উৎরাই যেতে পারি। তবে আমাদের উচিত কোন প্রফেশনাল কাউন্সেলরের স্মরণাপন্ন হওয়া। তবে আমরা নিজেরা যেসব কাজ করতে পারি সেগুলো হলো:

১.নিজের মানসিক চিকিৎকের সাথে নিয়মিত সময় কাটানো এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করা।

২.পরিবার, বন্ধু, চিকিৎসকের নাম্বারের একটি তালিকা জরুরী ভিত্তিতে নিজের কাছে রাখ। যাতে  যেকোন       সময় তাদের ডাকা যায়।

৩. দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে গান, হাসির কোন ভিডিও বা কনটেন্ট উপভোগ করা।

৪. সকল প্রকার মাদক যা স্নায়ুকে উত্তেজিত করে তা পরিহার করা।

৫. নিজের আইডিয়া এবং মূল্যবোধ অন্যের সাথে শেয়ার করা।

নিজেকে ফিরিয়ে আনবেন যেভাবে:       

১. অতিরিক্ত আবেগ বর্জন করুন। বুঝেশুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন। আপনার আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।

২. আপনার কি ভালো লাগে এবং কি আপনাকে তাড়িয়ে বেড়ায় তার একটি লিস্ট করে ফেলুন।

৩. সুস্বাস্থ্য বজায় রাখুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। ব্যায়াম করুন।

৪. ইতিবাচক ভাবুন এবং ইতিবাচক কাজ করুন।       

৫.নিজের নতুন নতুন কাজে-বিষয়ে আগ্রহ তৈরির চেষ্টা করুন।   

৬. চাপ সামলাতে ব্যায়াম, মেডিটেশনের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন।

আমাদের জীবনে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যা, নতুন নতুন চাপ আসেবই। এসব নিয়েই আমাদের থাকতে হয়। থাকতে হবে। তাই এজন্য আমাদের সবচেয়ে জরুরী হলো নিজেই নিজেকে মোটিভেট করা। নিজের সীমাবদ্ধতার পরিবর্তে শক্তির কথা ভাবুন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন।

এসব করতে গিয়ে মনে হতে পারে যে, একইরকম চক্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু চক্র হলেও দিন শেষে চক্র নয়, ইতিবাচক কি করছেন তাই নির্ধারন করে দেয় সবকিছু।

 

Link copied!