ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০১:৫৬ পিএম
দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। যাদের তৃতীয় ডোজ নেওয়ার চার মাস হয়েছে, তারাই চতুর্থ ডোজ নিতে পারবে। করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব নানা জটিল রোগে আক্রান্ত এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই টিকা পাবেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সারাদেশে একযোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু সাড়া মিলেছে একেবারে কম। প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র ফাঁকা।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
আগের তিন ডোজ কার্যক্রমের শুরুতে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও চতুর্থ ডোজের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। প্রায় সব টিকা কেন্দ্রে মানুষের উপস্থিতি কম।
কম উপস্থিতির কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে টিকা বিতরণ কর্মসূচির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘কেবল তো শুরু হলো। এখন মানুষ জানবে, কেউ ছুটির দিনে নেবে। দু-একদিন পরই বাড়তে থাকবে। আর সবাইকে তো দেওয়াও হবে না। অনেকে নিতেও চাইবে না। আমরা ক্যাটাগরি ভাগ করে দিয়েছি, সে অনুযায়ী ৮০ লাখ মানুষকে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে আরও এগিয়ে আসা উচিত।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে সিটি করপোরেশন, মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল থেকে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়া যাবে।
২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। একই বছরের এপ্রিলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এরপর চলতি বছরের ১৯ জুলাই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১৪ কোটির বেশি মানুষ প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। এ ছাড়া সাড়ে ১২ কোটি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৬ কোটির বেশি মানুষ।