দেশে গত দুই মাসে করোনায় যেসব আক্রান্ত ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের শতকরা ৮০ জনের শরীরে ডেলটা ভাইরাসের ধরণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে করা এক গবেষণার ফলাফল তুলে এ তথ্য জানানো হয়।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, গত মে ও জুন মাসে জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ৮০ শতাংশের মধ্যে ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। বাকি ২০ শতাংশের মধ্যে ১০ থেকে ১২ শতাংশ সাউথ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট এবং বাকিদের মধ্যে অন্য ক্রিয়াশীল ধরন পেয়েছে।
জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটায় (জিআইএসএআইডি) গত ৮ মে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর দেওয়া হয়। তখন নমুনা সংগ্রহের পর আইইডিসিআরও ভারতে ভ্রমণ করে আসা কারও শরীরে এই ধরন পাওয়া গেছে বলে জানায়।
এদিকে ঈদুল ফিতরের পর থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। পরে তা আশপাশের জেলাগুলোয়ও ছড়িয়ে পড়ে।
করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রূপান্তরিত ধরন ‘ডেলটা প্লাস’ নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। গত বছরের অক্টোবরে ভারতে প্রথম করোনার ডেলটা ধরন শনাক্ত হয়। ডেলটা ধরনকে শুরুতে ভারতীয় ধরনই বলা হতো। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ধরনটির নতুন নাম দেয় ‘ডেলটা ভেরিয়েন্ট’।
ভারত ছাড়াও পরিবর্তিত এ ধরনের সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, রাশিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে।