জানুয়ারি ২, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম
ওমিক্রনসহ দৈনিক করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কিছু বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সোমবার থেকে রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে এবং সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপস্থিতি ৫০ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। চলবে রাত্রিকালিন কারফিউ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গত চার দিনে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে বাতিল হয়েছে একাধিক সরকারি অনুষ্ঠান। পাশাপাশি, রবিবার নবান্নে জরুরি বৈঠক শেষে আরও বেশ কিছু বিধিনিষেধের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তিনি জানান, সোমবার থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। সন্ধে ৭টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে, তবে মোট যাত্রী আসনের ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।
বৈঠক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন জানিয়েছে, সোমবার থেকে রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এখন থেকে বিদেশ থেকে বিমানে আসা যাত্রীদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া বিয়েসহ সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি লোক থাকতে পারবে না। রাত ১০টার পর বন্ধ থাকবে শপিং মল ও সিনেমা হল। সরকারি অফিসে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মানতে হবে। এছাড়া বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল, পার্ক ও সেলুন বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৪৩৯। শনিবার তা বেড়ে ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে চার হাজারের গণ্ডি। অর্থাৎ, গত ছয় দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ গুণ বেড়েছে। এমনকি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হারও ১২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। শুধু কলকাতাতেই করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এক নজরে দেখে নিন, কী কী বন্ধ, কতটা বন্ধ
ট্রেন চলাচলে বিধিনিষেধ
দিনের বেলা সব স্বাভাবিক থাকলেও সোমবার থেকে লোকাল ট্রেন চলাচলে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছ রাজ্য সরকার। সোমবার থেকেই সন্ধ্যার পরে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, কোনও প্রান্তিক স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭টার পরে কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। এর পরে সড়ক পথে যাতায়াত করা যাবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এর পরে সেটাও বন্ধ থাকবে। রাজ্য সরকারের যে পরিকল্পনা তাতে রাতের দিকে যাতে কোনও যানবাহন চলাচল না করে সে দিকে কড়া নজর রাখবে প্রশাসন।