২০১৮ সালে আরএস-২৮ সারমাত ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল রাশিয়া। পরমাণু অস্ত্রবাহী এই ক্ষেপণাস্ত্র একসঙ্গে ১২টি পরমাণু ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিশ্চিহ্ন হতে পারে গোটা একটি দেশ।
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠজন, সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান আলেক্সি জুরাভলিভ গর্ব করে বলেন, এ অস্ত্রের আঘাতে ২০০ সেকেন্ডে ব্রিটেন, আর মাত্র ১০ সেকেন্ডে উড়ে যাবে ফিনল্যান্ড।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেট্রোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুরাভলিভের দাবি, ফিনল্যান্ডকে আমেরিকা ও ব্রিটেন ন্যাটোতে যোগ দিতে উসকানি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ফিনল্যান্ড যদি নর্থ আটলান্টিক ব্লকে যোগ দিতে চায়, তাহলে আমাদের লক্ষ্য একেবারেই বৈধ। রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা পুরোপুরি যৌক্তিক।’তার ভাষ্যমতে, ‘আমেরিকা যদি আমাদের হুমকি দেয়, তবে আমাদের শয়তান-২ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে এবং তারা যদি মনে করে রাশিয়ার অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়, তবে তাদের হাতে থাকবে শুধু পারমাণবিক ছাই।’
শয়তান-২ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিনিধি বলেন, ‘এটা দিয়ে সাইবেরিয়া থেকে ব্রিটেনে আঘাত করা যাবে। যদি আমরা কালিনিন গ্রাদ থেকে আঘাত করি, তবে এটি ব্রিটেনে পৌঁছাতে লাগবে ২০০ সেকেন্ড। আর মাত্র ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডে এটি পৌঁছে যাবে ফিনল্যান্ড।’
আমেরিকার প্রতি ইঙ্গিত করে জুরাভলিভ বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ সময় ধরে সহ্য করি, কিন্তু চিরকাল নয়। সারাবিশ্ব ইতোমধ্যে জেনে গেছে, আমেরিকা ৩য় বিশ্বযুদ্ধ ঘটাতে সম্ভাব্য সবকিছু করবে।’ তারা হয়তো পারমাণবিক হামলার দিকে যাবে না, কিন্তু পুরো ইউরোপকে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করবে। এশিয়ার পরিস্থিতি উত্তেজিত করবে।’
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে রাশিয়া কি প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে পারে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, রাশিয়ার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে এটা করতে আমরা বাধ্য হবো।’ বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং এস্তোনিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে তাদেরও গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।