গত দুইমাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এই হামলা রুখতে শুরু থেকেই যুদ্ধবিরতি চাইচ্ছে পুরো বিশ্ব।
গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাস হওয়া প্রস্তাবটির বিপক্ষে ছিল ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০টি দেশ। এ ছাড়া ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে মৌরিতানিয়া ও মিসর এই প্রস্তাব তুলেছিল। বাংলাদেশ সময় আজ বুধবার ভোর চারটার আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাস হয়। বাংলাদেশ, ভারতসহ ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যানুসারে,ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, গুয়াতেমালা, লাইবেরিয়া, মাইক্রোনেশিয়া, নাউরু, পাপুয়া নিউগিনি ও প্যারাগুয়ে মোট ১০ টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ।
এদিন যে ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল সেগুলো হলো-আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, কেপ ভার্দে, ক্যামেরুন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, জর্জিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি, ইতালি, লিথুয়ানিয়া, মালাবি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নেদারল্যান্ডস, পালাউ, পানামা, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, দক্ষিণ সুদান, টোগো, টোঙ্গা, ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য, উরুগুয়ে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি যে পাস হবে, তা আগেই ধারণা করা হচ্ছিল। যদিও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। তবে এর রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে বৈশ্বিক মনোভাব বোঝা যায়।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এদিন ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১৩টি দেশ। তবে ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য। শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবটিতে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলে প্রস্তাবটি আটকে যায়।