ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের যেকোনো পরিস্থিতিতে চীন দেশটির পাশে আছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন।
বৃহস্পতিবার, ০১ মে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে এ কথা জানায়।
গত ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় কাশ্মীরে ২৬ জনের প্রাণহানির পর প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। একে অপরকে দোষারোপ করেছে দু দেশই। এরমধ্যে বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে উত্তেজনা কমাতে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবেদন বলছে, লাহোরে নিযুক্ত চীনা কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন সকল পরিস্থিতিতে– সেটি হোক বিজয় কিংবা পরীক্ষার মুহূর্তে- এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাশে থাকার জন্য তার দেশের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সাথে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপ এবং কূটনীতির পক্ষেও কথা বলেছেন তিনি।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ কোনো সমাধান নয় এবং উভয় দেশকেই গঠনমূলক এবং শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে বের করতে হবে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) পাঞ্জাবের অর্থ সম্পাদক আহমেদ জাওয়াদ রানার বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ঝাও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি), অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জাতীয় নিরাপত্তা অবকাঠামোসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পাকিস্তানের সাথে চীনের দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, কৌশলগত সহযোগিতা, নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে চীন পাকিস্তানের সাথে ছিল, আছে এবং থাকবে।
আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। ঝাও চীন ও পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেন এ সময়।
তিনি বলেন, প্রত্যেক চীনা নাগরিক পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং পাকিস্তানি জনগণ চীনের প্রতি একই উষ্ণতা ও শ্রদ্ধার প্রতিদান দেয়।
বৈঠকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক উন্নয়নের বিষয়েও খোলামেলা মতবিনিময় হয়েছে। উভয় পক্ষই চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্বের পুনর্ব্যক্ত করে বৈঠকটি শেষ করেন।
ঝাও জানান, চীন পাকিস্তানকে কেবল প্রতিবেশী বা মিত্র হিসেবেই দেখে না, বরং এমন একটি সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবেও দেখে যার সাথে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং কৌশলগত সহযোগিতা সর্বদা সর্বোপরি থাকবে।
এই উচ্চ পর্যায়ের সম্পৃক্ততা পাকিস্তান-চীন সম্পর্কের গভীরতা এবং স্থিতিস্থাপকতা প্রতিফলিত করে। বিশেষ করে এমন এক সময়ে, যখন আঞ্চলিক উত্তেজনা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গতিশীলতা দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। উভয় পক্ষই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য অব্যাহত সংলাপ, অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং বহুপাক্ষিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর একমত হয়েছে।