চলতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশি ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এরমধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ১০ ট্রাক অর্থাৎ ৬০ টনের মতো ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় পাইকারি মাছ বাজার হাওড়া ফিশ মার্কেটে পৌঁছেছে মধ্য রাতে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) থেকে কলকাতার পাইকারি বাজারে জমে উঠেছে বাংলাদেশের ইলিশের বেচাকেনা। আগামীকাল শনিবার থেকে খুচরা বাজারেও পাওয়া যাবে ইলিশ। তবে চলতি বছর দাম অত্যাধিক চড়া হওয়ায় পাইকারি বাজারেই বাংলাদেশের ইলিশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অধিকাংশ খুচরা ব্যবসায়ী। ফলে শুক্রবার দিনভর কলকাতার বেশিরভাগ খুচরা বাজারে ঘুরেও মেলেনি পদ্মার ইলিশের দেখা।
চলতি বছর ৬০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম পদ্মার ইলিশের পাইকারি বাজারের দাম রাখা হচ্ছে ১,০০০-১,২০০ রুপি। এক কেজি বা তার ওপরে সাইজের মাছের দাম ১,৫০০-১,৬০০ রুপি । যা গেল বছরের তুলনায় কেজিপ্রতি কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ রুপি বেশি। খুচরা বাজারে এই মাছ বিক্রি হবে আরো অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ রুপি বাড়তি দামে।
ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, এক কেজি বাংলাদেশের ইলিশ পাইকারি বাজারে ১ হাজার থেকে ১২শ রুপি কেজি দরে বিক্রি হবে। ৭শ গ্রামের ইলিশগুলো ৭০০-৮০০ রুপির মধ্যে দাম থাকবে। তবে বাক্স খোলার পর খুচরা বাজারে দাম কত গুণ বেশি হবে, তা দুই-একদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতার বাজারে এক কেজি থেকে সোয়া কেজি ইলিশ মিলছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ রুপিতে। এখন দেখার কত দামে কলকাতাবাসীর পাতে ওঠে বাংলাদেশের ইলিশ!