চতুর্থ দিনে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত পরিস্থিতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অক্টোবর ১০, ২০২৩, ১১:২৫ পিএম

চতুর্থ দিনে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত পরিস্থিতি

ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের আজ চতুর্থ দিন।

গত শনিবার বিমান ও স্থলপথে ইসরায়েলের ওপর হামলা চালায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস। এরপর থেকে লাগাতার লড়াই চলছে । হামাসের অতর্কিত হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে। 

যুদ্ধে উভয় পক্ষের মৃতের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৬০০–তে এসে দাঁড়িয়েছে। গতকাল তারা গাজা উপত্যকায় অন্তত এক লাখ সৈন্যের সমাবেশ ঘটায় এবং গতকাল থেকে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। দেখা যাক, আজ চতুর্থ দিনে এসে এই সংঘাতের পরিস্থিতি কেমন।

৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ প্রশস্ত গাজা উপত্যকার আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথ ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণেই ছিল। অন্যদিকে গাজা-মিশর সীমান্ত ক্রসিংয়ে লোকজনের আসা–যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করে মিশর। 

গতকাল হামাস অধ্যুষিত গাজার সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ নিতে বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও গ্যাস সব বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। গতকাল সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণার পর গাজা-মিশর সীমান্ত ক্রসিং পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গতকাল সর্বাত্মক ঘোষণার পর গাজায় রাতভর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। 

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জানায়, গাজার পাশে রিমাল এবং খান ইউনিসসহ গাজা উপত্যকার ২০০টিরও বেশি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিচার্ড হেশট জানান, গাজা উপত্যকার আশেপাশে ইসরায়েলের ভেতর প্রায় দেড় হাজার হামাস সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে। সামরিক বাহিনী গাজা সীমান্ত মোটামুটি পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ইউরোপ থেকে সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ সদস্যদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

জাতিসংঘ জানায় ইসরায়েলের এই ভয়াবহ হামলায় ১ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে গাজার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ‍‍`স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা হুমকির মুখে‍‍` উল্লেখ করে ওই অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করতে একটি নিরাপদ করিডোর খোলার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বিদ্যুৎ নেই। এতে অসুস্থ ও আহত সব মানুষ হুমকির মুখে পড়বে বলে।’

Link copied!