ইরানে পাল্টা হামলা: ‘তামাশা’ করছে ইসরায়েল?

হাসনাত আসিফ কুশল

এপ্রিল ২১, ২০২৪, ০৬:১৩ পিএম

ইরানে পাল্টা হামলা: ‘তামাশা’ করছে ইসরায়েল?

ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ১ এপ্রিল দামেস্কে কনস্যুলেটে হামলার ঘটনায় ইসরায়েলকে দায়ী করতে থাকে ইরান।

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা ইরানকে বিরত থাকতে বললেও সেদিকে কর্ণপাত করেনি ইরান। ১৩ এপ্রিল সত্যি সত্যিই ইসরায়েলে হামলা করে বসে দেশটি।

এই হামলার পর প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে ইসরায়েল। হামলার জন্য তারাও ব্যকুল হয়ে ওঠে। কিন্তু বেঁকে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি শোনালেন, ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা করে, তাহলে তাদের সমর্থন করবে না যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্র দেশগুলো ইসরায়েলকে বোঝাতে থাকে। গোয়ারগোবিন্দ নেতানিয়াহু কোনো কিছু শুনতে রাজি নন। যেকোনোভাবেই হোক, ইরানকে জবাব দেবেন তিনি।

অবশেষে গত ১৯ এপ্রিল ইরানে পাল্টা হামলা করে ইসরায়েল। এই হামলার জন্য তেল আবিবকে দায়ী করেনি তেহরান।

এদিকে ইরানে পাল্টা হামলার পর ইসরায়েলের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির এক্স হ্যান্ডেলে করা এক পোস্টে হিব্রু ভাষায় এক শব্দে তিনি লেখেন, ‘দারদালেহ’। অর্থাৎ ইরানের ওপর পাল্টা হামলা ‘হতাশাব্যঞ্জক’।

১৩ এপ্রিল ইরানের হামলার প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহু সরকারের এই মন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন যে, ‘ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত আছে। এখনই ইরানের বিরুদ্ধে হামলার সময়।’

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাবে ইরানের একটি বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল নিজেদের সঙ্গে নিজেরাই তামাশা করছে।’

নেতানিয়াহু সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীর এই ডিগবাজির সমালোচনায় বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিদ বলেন, ‘অন্য কোনো প্রধানমন্ত্রী হলে তাকে আজ (১৯ এপ্রিল) সকালেই মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দিতেন। এমনকি নেতানিয়াহুর পাশে বসে ভেড়ার মতো যেসব মন্ত্রী চুপ করে থাকেন, তারাও দায়মুক্ত নন। তারা ক্ষমার অযোগ্য।’

Link copied!