জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পদত্যাগ চেয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বিনা কারণে ইসরায়েলে হামলা চালায়নি—গত ৫৬ বছর ধরে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের কারণেই এ হামলা চালিয়েছে হামাস। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তার এ মন্তব্যের পরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরডান বলেছেন, `শতাধিক মানুষকে যারা খুন করেছে, পুরুষ, নারী, শিশু কাউকে রেহাই দেয়নি, সেই হামাসকে সমর্থন করেছেন গুতেরেস। জাতিসংঘের প্রধান থাকার আর কোনো অধিকার তার নেই।`
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এবিষয়ে মুখ খুলেছেন। এলি কোহেন বলেছেন, ৭ অক্টোবর যারা নির্বিচারে হত্যা করল গুতেরেস কার্যত তাদের সমর্থন করেছেন। তার কথায়, `গুতেরেস আপনি কোন বিশ্বে থাকেন জানি না, তবে এটা আমাদের বিশ্ব নয়, এটুকু বলতে পারি।` জাতিসংঘের প্রধানের সাথে বৈঠকও বাতিল করেছেন তিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে একটি অনুষ্ঠান চত্বরে আক্রমণ চালায় হামাস। প্রায় ২২০ জন বেসামরিক মানুষকে পণবন্দি করে তারা।
উল্লেখ্য, গাজায় অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ২৪ ঘন্টায় সেখানে কমপক্ষে ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইসরাইলের নৃশংসতায় এরই মধ্যে গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে গেছে নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের একটি সেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, হামাস ৭ই অক্টোবর যে সহিংসতা চালিয়েছে তার পক্ষে কোনো অজুহাত চলে না। তাই বলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সামষ্টিক যে শাস্তি দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি সতর্ক করেন। তিনি বলেন, গাজায় যা প্রত্যক্ষ করছি আমরা তা সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।