যুক্তরাষ্ট্রের বারংবার চেষ্টার মুখেও আরেকটা নতুন যুদ্ধ থেকে ইসরায়েলকে বিরত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। সীমান্তের ওপারে প্রতিবেশী দেশ লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যেকোনও সময় সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে ইসরায়েল। যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জোর তৎপরতার মধ্যেও এই যুদ্ধের সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আমরা লেবানন ও সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে খেলার নিয়ম পরিবর্তনের খুব কাছে রয়েছি। পুরোদস্তুর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা হবে। লেবাননকে চরম শিক্ষা দেওয়া হবে
- ইসরায়েল কার্টজ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইসরায়েল
গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সেনাবাহিনী জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নর্দার্ন কমান্ড মেজর জেনারেল ওরি গরদিন ও হেড অব দ্য অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের মেজর জেনারেল ওদেদ বাসিউক এই যুদ্ধ-পরিকল্পনার অনুমোদন করেছেন।
আরও পড়ুন: আরও বড় যুদ্ধের দিকে ইসরায়েল, কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র
কয়েক সপ্তাহ জুড়ে লেবানন থেকে প্রায়ই ইসরায়েলের দিকে রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে আসছে। অল্প কিছুদিন আগে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর একজন শীর্ষ নেতা নিহত হন। প্রতিক্রিয়ায় দুই শতাধিক রকেট নিক্ষেপ করে লেবানন। এরই অব্যবহিত কয়েকদিনের মাথায় এই যুদ্ধের পরিকল্পনার অনুমোদন করল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। সিদ্ধান্ত হয়েছে সেনা সদস্যদের পরিপূর্ণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখার।
গতকাল মঙ্গলবার প্রায় ১০ মিনিটের একটি ভিডিওতে ইসরায়েলের হাইফা ও অন্যান্য শহরের ফুটেজ সংবলিত একটি ভিডিও প্রকাশ করে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির দাবি, ড্রোনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সামরিক ও বেসামরিক অবস্থানের এই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশের পর ইসরায়েলের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মনে ঢুকে ভয়, আতঙ্ক। দেশটির পররাষ্টমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, “আমরা লেবানন ও সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে খেলার নিয়ম পরিবর্তনের খুব কাছে রয়েছি। পুরোদস্তুর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা হবে। লেবাননকে চরম শিক্ষা দেওয়া হবে।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে নজিরবিহীন হামলা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ইসরায়েলও গাজায় হামলা শুরু করে। এদিকে একদিন পর ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে হামলা শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৯৬ এবং আহতের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫২৩।
সূত্র: আল জাজিরা