গাজার আল–শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের যে দাবি

এএফপি

নভেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম

গাজার আল–শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলের যে দাবি

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার আল–শিফা হাসপাতালে তল্লাশি চালিয়ে জিম্মিদের কিছু ফুটেজ পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা বলছে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস যাঁদের জিম্মি করেছিল, তাঁদের ফুটেজ সেগুলো।

গাজা উপত্যকার সবচেয়ে বড় আল–শিফা হাসপাতালের ভবনে বৃহস্পতিবার ( ১৬ নভেম্বর ) ইসরায়েলি বাহিনী তল্লাশি চালায়। হাসপাতালটির নিচে হামাসের আস্তানা আছে দাবি করে অভিযান চালানো হয়। তবে হামাস ও হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, তারা হাসপাতাল ভবনে রাইফেল, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক পেয়েছে। কিছু কম্পিউটার ও সরঞ্জামও জব্দ করেছে তারা।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সেনারা একই সময়ে গোটা ভবনে অভিযান চালিয়েছে, প্রতিটি তলায় তলায় তল্লাশি করেছে। ওই ভবনে তখন শত শত রোগী ও চিকিৎসাকর্মী ছিলেন।’

হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কুদরা এএফপিকে বলেন, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের রেডিওলজি সেবা ধ্বংস করে দিয়েছে। বার্ন ও ডায়ালাইসিস বিভাগগুলোতে বোমা হামলা করেছে তারা। অসুস্থ ও আহত হাজারো নারী ও শিশু মৃত্যুঝুঁকিতে আছে।

গত বুধবার আল–শিফা হাসপাতালের ভবনে ইসরায়েলি সেনারা প্রথমবারের মতো সশরীর ঢুকে পড়েন। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার হিসাব অনুসারে, আল–শিফা হাসপাতালে ২ হাজার ৩০০ রোগী, চিকিৎসাকর্মী ও বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিকেরা ছিলেন। হাসপাতালটিতে খাবার, পানি নেই। জেনারেটর চালানোর জ্বালানি নেই।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। যদিও শুরুতে এ সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ দাবি করেছিল দেশটি। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রায় ২৪০ জনকে জিম্মি করে রেখেছে বলে ইসরায়েল দাবি করে আসছে।

হামাসের হামলার জবাবে ওই দিনই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। নির্বিচার ও বিরামহীন হামলায় গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, চলমান যুদ্ধের কারণে গাজার ৩৬টি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি হাসপাতাল অচল হয়ে গেছে।

Link copied!