ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হওয়ার পর মোদির বিজেপি প্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে না থাকায় হঠাৎ ধসের মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপের শেয়ার। শেয়ার বাজারের এই পতনে বিনিয়োগকারীদের ২৬ লাখ কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) নির্বাচনের ফলাফলের আভাসের সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার বাজারে পতন শুরু হয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “শেয়ার বাজারে সকাল থেকে ধস নেমেছিল। ফল প্রকাশের দিন সকাল থেকেই সব বড় বড় সংস্থার শেয়ারে পতন হয়। একটা সময় প্রায় ৫ হাজার পয়েন্ট নেমে গিয়েছিল। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। তবে ফের পড়ে যায় শেয়ারের দাম।”
বিশেষ করে আদানি এন্টারপ্রাইজ এবং আদানি পোর্টসের শেয়ার যথাক্রমে ১৫ শতাংশ ও ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির পর একদিনে এতো হ্রাস পেতে দেখা যায়নি আদানি গ্রুপের ওই দুই শেয়ারে। এছাড়া আদানি গ্রুপের আদানি গ্রিন, আদানি এনার্জি সলিউশনস এবং আদানি পাওয়ারের শেয়ার দাম হ্রাস পেয়েছে ১৬ থেকে ১৯ শতাংশ। এছাড়া আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি উইলমারও পতনের মুখে পড়েছে।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, “বোম্বে স্টোক এক্সচেঞ্জে বড় ধস নামে শেয়ারের। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা চরম অনিশ্চয়তা এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। ধারনা করা হচ্ছে সকাল থেকে ভোট গণনার যে আভাস দেওয়া হচ্ছিল তাতে মোদির বিজেপি আশানূরুপভাবে এগিয়ে না থাকায় শেয়ার বাজারে এ পতন।”
এছাড়া নিফটি৫০ শেয়ারেও বড় ধস নামে। ইভিএমে বিজেপি ধাক্কা খেতেই শেয়ার বাজারে নিফটির সূচক নেমে যায় ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ বা ১৬০৭ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে। এদিকে, মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে সবচেয়ে লাভবান শেয়ার ছিল হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের। হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেডের শেয়ারের দাম ২.৭২ শতাংশ বা ৬৪.১০ টাকা বেড়ে ২৪২০ টাকায় পৌঁছায়। গতকাল শেয়ারবাজারে এক লাফে ২৫০০ পয়েন্ট বেড়ে ৭৬ হাজার পয়েন্টের ঘরে পৌঁছেছিল। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির পরে একদিনে এটাই ছিল সবথেকে বড় উত্থান।